আপনি যদি লাস্ট কয়েকদিন টিভি নিউজ দেখে থাকেন – তাহলে প্রায় প্রতি বেলার নিউজে দেখবেন যে সরকারি কেও না কেও বলে বেড়াচ্ছে যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আগেই তাঁরা সচেতন হতে চায় এবং এর বিরুদ্ধে কাজ করছে।
সাউন্ডস ফেয়ার এন্ড ফাইন। ফ্যান্টাস্টিক স্টেটমেন্ট।
সমস্যা হচ্ছে, ঠিক কোন পরিস্থিতিতে আমরা বলতে পারবো যে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে কিংবা এখন আমাদের হাতে একটা স্টেট অফ ইমারজেন্সি এসে পড়েছে – সেইটার কোনো ডেফিনিশন নাই।
একজন লোক মারা গেলে সেইটাকে অবনতি বলা যাবে, নাকি ১০০ জন মারা গেলে? এক হাজারে আমরা ইমারজেন্সি ডিক্লেয়ার করবো, নাকি দশ হাজারে?
এই বছর জুন মাসে আমাদের প্রথম ডেঙ্গু রিলেটেড ডেথ রেকর্ড হয়েছে। এই সপ্তাহের শুরু পর্যন্ত ডিজিএইচএস ১৬,০০০+ কেইস রেকর্ড করেছে। রেকর্ড আর কয়টা কেইসই হয়? রিয়েল ফিগার হয়তো এর দশ গুন।
এইটা ইমারজেন্সি না হইলে – এক্সাটক্লি পরিস্থিতির অবনতি কোন কেইসে বলা হবে?
বিষয় আসলে এইটা না যে ডেঙ্গু একটা সমস্যা। কারন রিসার্চ বলে যে মে-জুন মাসে ডেঙ্গু তাঁর হাইয়েস্ট গ্রোথ ইন্টারভালে থাকে। তাঁর মানে সেপ্টেম্বার মাসের শেষে এসে এইটাকে আসলে এমনে ফেলে রাখলেও এর ডি-গ্রউথ হবে। সমস্যাটা শুরু হয়েছিলো মার্চ মাসের শেষে কিংবা এপ্রিলে – যখন এইটাকে সোর্সেই নির্মূল করার প্রয়জনিয়তা ছিল। এখন এইটা সমস্যা না। এখন ডেঙ্গু এম্নেই আস্তে আস্তে কমে যাবে।
সমস্যাটা আসলে এই যে আমাদের সবচাইতে বড় পাব্লিক হেলথ এর একটা ইশুতে আমাদের কোনো টার্গেট ভার্সেস এচিভমেন্ট এর হিসাব নাই। কারোর একটা কোয়ার্টারলি টার্গেট নাই যে আমি এই মাসে এত স্কয়ার ফিট এরিয়া ক্লিন করবো, কিংবা আমার এলাকাতে এতবার ক্লিনিং ড্রাইভ হবে।
এইটা তো একটা এন্ডেমিক – এইটা কেন সিটি কর্পোরেশনের একলার দায়িত্ত?
হেল্থ মিনিস্ট্রি তো বলতে পারে যে দেশের সাসেপ্টিবল পপুলেশনকে আমি ভ্যাক্সিন দিবো – লাগলে রাস্তায় রাস্তায় মানুষকে এই ভ্যাক্সিন নিতে উদবুদ্ধ করবো! এখনও এইটার এপ্রুভাল দেন নাই কেন আপনারা? এর ট্রিট্মেন্ট এক্সপেন্স এর চাইতে এর ভ্যাক্সিন ১/৩ খরচে দেয়া সম্ভব।
এডুকেশন মিনিস্ট্রি বলতে পারে যে সব স্কুল ছাত্রের প্রতি মাসে বাসার আশেপাশের ছবি তুলে আনতে হবে স্কুলে যে তাঁরা তাঁদের বাসা এবং আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রেখেছে! এতে একটা জেনারেশন শুধু জাপানের বাচ্চাদের গল্প শুনা বাদ দিয়ে নিজেরাও কিছু শিখবে।
ধর্ম মন্ত্রনালয় ডিক্লেয়ার করতে পারে যে প্রতিটা উপসনালয়ের আসে পাশের ২০০ মিটার জায়গার দায়িত্ব নিয়ে তাঁদের পরিষ্কার রাখতে হবে! এলাকার আঙ্কেলদের এই ফগিং এর দায়িত্ব দিয়ে দেন – উনারা এইটা বেশ ভালোভাবেই করতে পারবে।
এইটা বাদ দেন – আমি আমার এলাকায় গত একমাসে একবারের জন্নেও কোন ধরনের ফগিং দেখি নাই। এইটার দায়িত্ব আসলে কার? এর কোনো ভিজিবিলিটি নাই – কেন নাই? এর লাইভ ড্যাশবোর্ড নাই কেন যে আজকে কোন এমপ্লয়ি কই দিয়ে হেঁটে গেল এবং নেক্সট কবে যাবে?
একটা গাড়িতে গার্ডার পড়ে পাঁচজন মারা গেলে সেইটার এগেইন্সটে যদি ন্যাশনাল হিউ এন্ড ক্রাই হয় – তবে সাধারণ ডেঙ্গুতে ৫০ জন মরে গেলে সেইটা ইমারজেন্সি না কেন? জীবনের দাম কি এতই কম?